Katrina's Digital Addiction

‘ফোনটা এ বার রাখো’! ক্যাটরিনাকেও বকুনি খেতে হয় ভিকির কাছে, কী ভাবে অভ্যাস বদলাবেন?

ক্যটরিনা জানাচ্ছেন, তিনি এখন সরাসরি নিজের ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাঁর ব্র্যান্ডের দেখভালও করেন তিনি। আর ব্যবসায়ীর জন্য সকাল বা রাত বলে কিছু নেই। ফোনে কথাবার্তা চলতেই থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩২
Share:

ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল। ছবি : সংগৃহীত।

ফোন ঘাঁটতে মগ্ন আপনি। হঠাৎ কানে ভেসে এল বিরক্তিমাখা কণ্ঠস্বর— ‘ফোনটা এ বার রাখো না!’ কিংবা ‘ফোন থেকে মুখটা তোলো’। জীবনে স্মার্টফোন আসার পরে এমন বাক্যবন্ধের বিরক্তিসূচক নিক্ষেপ ঘরে ঘরে। বলিউডের অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ জানাচ্ছেন, তিনিও ব্যতিক্রম নন। স্বামী ভিকি কৌশলের কাছে প্রায়ই ফোন নিয়ে বকুনি খেতে হয় হয় তাঁকে। ক্যাটরিনা বলছেন, ‘‘মাঝে মাঝে ভিকি বলতে থাকে, ‘ফোনটা রাখো.. ফোনটা রাখো.. ফোনটা এখনই রাখো’ কারণ, আমি হয়তো তখনও বলছি, আর একটা মেল বাকি। বা আর একটা টেক্সট পাঠাতে হবে। খুব জরুরি।’’

Advertisement

ক্যটরিনা জানাচ্ছেন, তিনি এখন সরাসরি নিজের ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাঁর ব্র্যান্ডের দেখভালও করেন তিনি। আর ব্যবসায়ীর জন্য সকাল বা রাত বলে কিছু নেই। তবে নায়িকা মানছেন, ‘‘ভাল থাকার জন্য কোথাও একটা থামতেও জানতে হয়। আমি সারারাত ইমেল বা মেসেজ করে যেতে পারি না। তাই ফোনে মগ্ন হয়ে যাওয়ার অভ্যাসে রাশ টানতেই হবে।’’

মনোবিদেরা কী বলছেন?

Advertisement

মনোরোগ চিকিৎসক দিব্যা জি নাল্লুর বলছেন, ‘‘ফোনে মগ্ন হয়ে গিয়ে অনেক সময়েই আমরা পরিবারকে অবহেলা করে ফেলি। সেইটা যেন না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ তাতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। বাড়তে পারে অশান্তি।’’ আবার যাপন প্রশিক্ষক জসলীন কউর বলছেন, ‘‘ফোনের প্রতি অতিরিক্ত অনুরক্ত হয়ে পড়লে তার প্রভাব দাম্পত্যেও পড়তে পারে।’’ তাই সব দিক ঠিক রাখতে অভ্যাস বদলানোর পরামর্শ দিচ্ছেন দু’জনেই।

কী ভাবে অভ্যাস বদলাবেন?

১। কউর বলছেন, ফোনে কথাবার্তা বা চ্যাট সারা দিন চলতেই থাকবে। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় রাখুন নিজেদের জন্য। হয়তো ঠিক করলেন ১-২ ঘণ্টা দু’জনেই ফোন ব্যবহার করবেন না। সেটা নৈশাহারের আগে পরে হতে পারে। দিনের যেকোনও সময় হতে পারে। ওই সময়ে ফোন না দেখার নিয়ম মেনে চলুন।

২। যদি কাজের সূত্রে ফোন ব্যবহার করা একান্তই জরুরি হয়, তবে সেটা একে অপরকে জানিয়ে রাখুন। দরকার হলে বিনা ফোনের সময় এগিয়ে-পিছিয়েও নেওয়া যেতে পারে।

৩। দু’জনেই যদি ওই নিয়ম মেনে চলতে থাকেন, তবে একে অপরকে উৎসাহিত করতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, প্রশংসা এবং কদরের প্রভাব কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement