হাসান নাসরল্লা। —ফাইল ছবি।
মৃত্যুর আগে যুদ্ধবিরতি চেয়েছিলেন হিজ়বুল্লার প্রাক্তন প্রধান হাসান নাসরল্লা। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদাল্লা বাও হাবিব। মন্ত্রীর আরও দাবি, এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ছিল ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণ দিকের শহরতলিতে হিজ়বুল্লার ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই বাঙ্কারেই ছিলেন নাসরল্লা। হিজ়বুল্লা দাবি করে, ইজ়রায়েলি হানাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ইজরায়েলের তরফেও একই দাবি করা হয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অবশ্য তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায়, নাসরল্লার দেহে তেমন কোনও গুরুতর আঘাত ছিল না। তাই আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েও মারা যেতে পারেন তিনি।
লেবাননের বিদেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার আমেরিকার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, “তিনি (নাসরল্লা যুদ্ধবিরতিতে) রাজি হয়েছিলেন। সেই মতো লেবাননের হাউস স্পিকার নাবিহ বেরি হিজ়বুল্লার সঙ্গে কথা বলেন। আমরা এই বোঝাপড়ার বিষয়টি আমেরিকা এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাঁরা আমায় বলেন, নেতানিয়াহু নিজেও এই বিষয়ে রাজি।”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইজ়রায়েল এবং হিজ়বুল্লাকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য পেশের জন্য আমেরিকা সফররত নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। উল্টে তিনি জানান, হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে ‘পূর্ণ উদ্যমে’ লড়়াই করবে ইজ়রায়েল।