জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলের গাজ়া দখলের চেষ্টাকে ‘বড় ভুল’ বলে দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাস-ইজ়রায়েল চলতি সংঘাতের আবহে এই প্রথম কোনও ইজ়রায়েলি পদক্ষেপের প্রকাশ্য বিরোধিতা করল আমেরিকা। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে দেশে যেতে পারেন বাইডেন। তবে সেই সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইজ়রায়েলের গাজ়ায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি এটা একটা বড় ভুল।” হামাস সমস্ত প্যালেস্তিনীয়র প্রতিনিধিত্ব করছে না, এমনটা দাবি করে বাইডেনের সংযোজন, “দেখুন, আমার মতে সমস্ত প্যালেস্তিনীয়র প্রতিনিধিত্ব করছে না হামাস। তাই আমি এটাও মনে করি যে, ইজ়রায়েল যদি ফের গাজ়াকে দখল করার চেষ্টা করে, তবে সেটা ভুল কাজ হবে।” উল্লেখ্য যে, রবিবার দুপুরেই ইজ়রায়েলি সেনার বেঁধে দেওয়া তিন ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হয়েছে। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়, গাজ়ায় স্থলপথ ধরে ‘অপারেশন’ শুরু করতে প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে তারা।
রবিবার গাজ়া ভূখণ্ডের তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের অনুরোধ জানায় ইজ়রায়েলের সেনা। কার্যত গাজ়াবাসীকে প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় সেই সীমা শেষ হয়েছে। এই সময়সীমা পেরোনোর পরেই তারা গাজ়া ভূখণ্ডে সর্বাত্মক হামলা চালাতে চলেছে বলে জানিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। তাই এর পরের পরিণতি নিয়ে আশঙ্কিত নানা মহল।
ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে রবিবার বলা হয়, “গাজ়া ভূখণ্ডের বাসিন্দা এবং উত্তর গাজ়ার বাসিন্দাদের আমরা আগেই অনুরোধ করেছিলাম যে, নিরাপত্তার কারণেই আপনারা দক্ষিণ দিকে সরে যান। আমরা এখন জানাতে চাই যে, সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত আমরা ওই অঞ্চলে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করব না। এই সময়ের মধ্যে অনুগ্রহ করে আপনারা গাজ়ার উত্তরাংশ থেকে দক্ষিণ দিকে সরে যান।” গাজ়ার উত্তরাংশ থেকে দক্ষিণে যাওয়ার যে ‘করিডর’, তা সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই গাজ়ার দশ লক্ষ বাসিন্দা ভূখণ্ডের উত্তরাংশ থেকে দক্ষিণ দিকে সরে গিয়েছেন। তবে বাইডেনের এই মন্তব্যের পর ইজ়রায়েল গাজ়ায় আদৌ ‘অপারেশন’ শুরু করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্য দিকে, বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ইজ়রায়েলকে সংহতির বার্তা দিতে সে দেশে যাবেন বাইডেন। তবে সেই সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।