হিজ়বুল্লার নতুন প্রধান নঈম কাশেম। ছবি: রয়টর্স।
হিজ়বুল্লা তাদের নতুন প্রধান হিসাবে নঈম কাশেমকে বেছে নেওয়া পরই হুমকি দিল ইজ়রায়েল। পরোক্ষ ভাবে তাঁকেও খতম করার হুমকি দিয়ে রাখল তারা। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট কাশেমের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনার শেষের শুরু।’’
গত মাসেই বেরুটে ইজ়রায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজ়বুল্লার তৎকালীন প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে কে দায়িত্ব নেবেন, তা নিয়ে গত এক মাস ধরে বিস্তর আলোচনা চলেছে। মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নাসরাল্লার উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাশেমকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই ইয়োয়াভ সমাজমাধ্যমে কাশেমের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘সাময়িক নিয়োগ। বেশি দিন নয়।’’ কূটনৈতিক মহলের মতে, ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পোস্ট যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তার বার্তার মধ্যে প্রচ্ছন্ন হুমকিও রয়েছে।
শুধু কাশেমকে খতম করা নয়, ভবিষ্যতে ইরানেও হামলা চালানো হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি সেনার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি জানান, ইরান যদি পাল্টা হামলার কথা ভাবে, তবে ভুল করবে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও ব্যারেজে যদি ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তবে তার মাশুল চোকাতে হবে। আমরা জানি কী ভাবে আবার ইরানে পৌঁছনো যায়। এত দিন যে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, এ বার তার থেকেও বেশি শক্তি নিয়ে হামলা চালানো হবে। কোনও জায়গা ছাড়া হবে না।’’
দিন দু’য়েক আগেই ইজ়রায়েলি সেনার তরফে ঘোষণা করা হয় লেবাননে তাদের হামলা শেষ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে আবারও হামলার পথে হাঁটতে পারে সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিল। হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যেই হিজ়বুল্লা তেড়েফুঁড়ে ওঠে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। ইজ়রায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে তারা। তার পরই পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। বিগত কয়েক দিনে লেবাননে একের পর এক হামলা চালিয়েছে তারা। দাবি, ইজ়রায়েলের সীমান্ত লাগোয়া লেবাননে হিজ়বুল্লার সমস্ত ঘাঁটি, আশ্রয়স্থল, সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগার, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র— সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। যে সব অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি ইজ়রায়েলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।