(বাঁ দিকে) উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের প্রায় দোড়গোড়ায় সেনা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উত্তর কোরিয়া। কয়েক মাইল পথ পেরোলেই সীমান্ত। সেই সীমান্ত টপকে কিম জং উনের সেনাবাহিনী কি ঢুকে পড়বে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই আবহে আমেরিকা আবারও ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারি, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী যদি ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ঢোকে তবে পাল্টা জবাব দিতে হবে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারকে।
রাশিয়ার কুরস্ক এলাকায় ১০ হাজার সেনা অবস্থান করছে, মঙ্গলবার এমনই দাবি করে আমেরিকার পেন্টাগন। তার পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশ্ন ওঠে, এ বার কি উত্তর কোরিয়া সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইছে? পেন্টাগন আরও দাবি করেছে, অন্তত তিন হাজার সেনাকে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে রুশ সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে। এ ব্যাপারে বাইডেন জানান, তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ইউক্রেনের প্রস্তুতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যদি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী সীমান্ত পার করে তবে ইউক্রেনকে পাল্টা জবাব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আড়াই বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার কোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে যায় অনেক দেশের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও দমেননি ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর সেনাবাহিনী। ভারতের মতো অনেক দেশ শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলাদা করে জ়েলেনস্কি এবং পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।