প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাড়িতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাহুল গান্ধীরা। শুক্রবার সকালে। ছবি: পিটিআই।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লির মোতীলাল নেহরু মার্গে পৌঁছন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডাও মনমোহনের বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ প্রণাম করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাঁরা। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে শুক্রবার সকাল থেকে ওই বাড়িতে একে একে জড়ো হন শাসক এবং বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হবে শনিবার।
মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ ছাড়াও অনেক বিজেপি নেতা তাঁর বাড়িতে যান। যান কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও। পরে পৌঁছন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, মনমোহনের কনিষ্ঠা কন্যা ক্যালিফর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ল’ স্কুলের অধ্যাপক। সেখান থেকে তিনি শুক্রবার বিকেলে দেশে ফিরবেন। সেই কারণেই শেষকৃত্য হবে শনিবার। শেষকৃত্যের পর মনমোহনের অস্থি নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেসের সদর দফতরে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সাত দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব এবং অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।
৯২ বছর বয়সি মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বৃহস্পতিবার। তাঁকে রাত ৮টা নাগাদ দিল্লি এমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন।