অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আমেরিকার বিদেশসচিব ভারতে আসার ঠিক আগে গণতন্ত্র প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে ভারত গর্বিত। যারা বহুত্ববাদকে সম্মান দেয় তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় দিল্লি রাজি।
মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে ভারতে আসার কথা আমেরিকান বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। এখন পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিরোধী রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি নিয়ে উত্তাল ভারতের রাজনীতি। জেলে সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকান বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা ডিন থম্পসন বলেন, ‘‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষার বিষয়গুলি আমরা অবশ্যই তুলব। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব। আমরা বিশ্বাস করি, এই সব বিষয়গুলি নিয়ে আমাদের দুই দেশের মূল্যবোধ অনেকটাই এক।’’ পেগাসাস প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ভারতের ক্ষেত্রে এ নিয়ে যা ঘটেছে, সে সম্পর্কে আমাদের কাছে ভিতরের খবর নেই। আমি জানি যে এটা বৃহত্তর বিষয়। তবে এই সমস্ত সংস্থা তাদের প্রযুক্তি যাতে এই ধরনের কার্যকলাপে ব্যবহার না করতে পারে, তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা সরব। আরও স্বর তুলব।” ফলে ব্লিঙ্কেনের সফরে ভারত চাপে পড়তে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছিল।
গত কাল বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো বিষয় কোনও নির্দিষ্ট জাতীয় বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নয়। এই দু’টি ক্ষেত্রেই ভারত তার সাফল্য নিয়ে গর্বিত। সেই সাফল্য অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভারত সব সময়েই রাজি।’’ বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্তার বক্তব্য, ‘‘ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সমাজ রয়েছে। যারা বহুত্ববাদকে সম্মান করে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ভারতের কোনও সমস্যা নেই।’’