—ফাইল চিত্র।
লাদাখ সীমান্তে আগ্রাসন চালানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তার পরেই ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নেমে পড়ল চিন। গত সত্তর বছরে কোনও দেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি বলে দাবি করল তারা। এমনকি তাদের বাহিনী কখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করেনি বলেও দাবি করল।
গত ২৯-৩০ অগস্ট রাতে লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে চিনা বাহিনী ফের আগ্রাসন চালিয়েছে বলে সোমবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়। তাতে দু’দেশের মধ্যে নতুন করে সঙ্ঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এ দিন তা নিয়ে ভারতের সমর্থনে মুখ খোলে আমেরিকা। জানিয়ে দেয়, চিনের রক্তচক্ষুর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
তার পরেই এ দিন সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিতে এগিয়ে আসেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং। তিনি বলেন, ‘‘নতুন করে চিনের প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গত ৭০ বছরে কোনও যুদ্ধ বা সঙ্ঘাতে প্ররোচনা জোগায়নি চিন। কোনও দেশের এক ইঞ্জিও জমি দখল করেনি। চিনা সীমান্ত বাহিনী কঠোর ভাবে এলএসি মেনে চলে। কখনও সীমা অতিক্রম করেনি তারা।’’
আরও পড়ুন: প্যাংগংয়ে মুখোমুখি ট্যাঙ্ক বাহিনী, দিল্লিতে বৈঠকে রাজনাথ
লাদাখে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে চিনা বাহিনী নতুন করে সামরিক পদক্ষেপ করেছে বলে গতকাল ভারতের তরফে যে দাবি করা হয়, তা নিয়ে এ দিনও কোনও মন্তব্য করেননি হুয়া চুনইং। তবে তিনি বলেন, ‘‘ভারত-চিন, উভয়ের তরফেই আলাদা আলাদা দাবি উঠতে পারে। দু’পক্ষের মধ্যে যোগাযোর সমস্যা রয়েছে। আমার মনে হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতি ঘটিয়ে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা টিকিয়ে রাখায় জোর দেওয়া উচিত দু’পক্ষের।’’
লাদাখে ভারতের তরফে সেনা বাড়ানো হচ্ছে বলে সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘সীমান্তে সেনা বাড়ানো হচ্ছে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেখানো হচ্ছে। আমার মনে হয়, দু’দেশের নাগরিকরা শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে চান। তাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই সব রিপোর্ট সাধারণ মানুষের ইচ্ছের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’’
আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রণবের শেষকৃত্য, গান স্যালুট-শোকে-শ্রদ্ধায় বিদায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে
চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘিরে বছরের গোড়ার দিকে লাদাখের পরিস্থিতি তেতে ওঠে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘর্ষ বাধে তাদের। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। হতাহতের ঘটনা ঘটে চিনের তরফেও। যদিও তাদের তরফে ঠিক কত জন প্রাণ হারিয়েছেন, তা আজও গোপন রেখেছে চিন।