মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জায়গা চেয়েছিল কংগ্রেস এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে কেন্দ্র, এমনই দাবি বিজেপির দীর্ঘ সময়ের (এখন প্রাক্তন) বন্ধুদল শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিংহ বাদলের। সামজমাধ্যমে পোস্ট করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মনমোহনের পরিবারের অনুরোধ কেন্দ্রের প্রত্যাখ্যান করা খুবই নিন্দনীয়।
স্মৃতিসৌধ তৈরির উপযুক্ত জায়গার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, মনমোহনের শেষকৃত্য সেখানেই করা উচিত, যেখানে তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের স্মৃতিসৌধ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রনেতাদের ক্ষেত্রে যেমন যেখানে শেষকৃত্য হয় তার উপরেই গড়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখার অনুরোধ করেছেন খড়্গে। মোদীর সঙ্গে ফোনেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান খড়্গে। শুধু খড়্গে নয়, মনমোহনের পরিবারের তরফেও একই অনুরোধ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল জানান, শনিবার নয়াদিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শুক্রবার দিল্লিতে সদর দফতরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে খড়্গে ছাড়াও ছিলেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং অন্যেরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ মনমোহনের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সদর দফতরে। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকবে তাঁর মরদেহ। সাধারণ মানুষেরা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তার পর সাড়ে ৯টা নাগাদ কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে শুরু হবে মনমোহনের শেষযাত্রা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
৯২ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দিল্লি এমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। রাত ৮টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৯টা ৫১ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়, জানিয়েছেন এমস কর্তৃপক্ষ। তাঁর মৃত্যুতে সাত দিনের জাতীয় শোকপালন করা হবে, ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের সনিয়া, রাহুল— সকলেই শুক্রবার দিল্লিতে মনমোহনের বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন।