কনস্টাসকে কোহলির ধাক্কা মারার সেই মুহূর্ত। ছবি: সমাজমাধ্যম।
স্যাম কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে বিরাট কোহলি ধাক্কা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মেলবোর্ন। বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। এ বার মুখ খুললেন রজার বিন্নী, যিনি ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এবং বিসিসিআই সভাপতি। বিন্নী জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার মতো কিছু হয়নি।
এক সংবাদমাধ্যমে বিন্নী বলেছেন, “ওই ঘটনাটা আমি দেখিনি। তবে ক্রিকেট মাঠে এমন ঘটনা হয়েই থাকে। সেটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ক্রিকেট খেলার উন্নতিই আসল উদ্দেশ্য।”
প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ভারত যে ভাবে ফিরে এসেছিল তারও প্রশংসা করেছেন বিন্নী। বলেছেন, “শেষ সেশনে চারটে উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে দিয়েছিল ভারত। ওটাই ম্যাচে আমাদের ফিরিয়ে এনেছে। আশা করি দারুণ একটা ম্যাচ দেখতে পাব।” যদিও ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে দ্বিতীয় দিনের শেষে চাপে রয়েছে ভারত। এখনও পিছিয়ে ৩১০ রানে।
বোর্ড সভাপতিকে পাশে পেলেও সেই ঘটনার জেরে শাস্তি পেয়েছেন কোহলি। একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছিল ১০ ওভারের পর। মহম্মদ সিরাজ সেই ওভার শেষ করার পর দিক পরিবর্তন করার জন্য হেঁটে আসছিলেন কোহলি। উল্টো দিক থেকে আসছিলেন কনস্টাসও। দু’জনের কাঁধে ধাক্কাধাক্কি হয়। কনস্টাসের বিষয়টি পছন্দ হয়নি। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। পাল্টা কোহলিও রক্তচক্ষু দেখিয়ে কনস্টাসকে উত্তর দেন।
বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি। সতীর্থ ওপেনার উসমান খোয়াজা এসে কনস্টাসকে সরিয়ে নিয়ে যান। পাশাপাশি কোহলিকেও অনুরোধ করেন ঘটনাটি সেখানে শেষ করে দেওয়ার জন্য। ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন আম্পায়ারেরাও। বার বার সেই ঘটনার রিপ্লে দেখাতে থাকে সম্প্রচারকারীরা। সেখানে অবশ্য দেখা গিয়েছিল, কনস্টাস মাথা নিচু করে ব্যাট হাতে যাচ্ছিলেন। কোহলিই যাওয়ার পরে দিক পরিবর্তন করে কনস্টাসের কাছে গিয়ে তাঁকে গিয়ে ধাক্কা মারেন।
প্রথম দিনের খেলার মাঝে কনস্টাস বলেছিলেন, “মনে হয় আমরা দু’জনেই তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি ঘটনাটা। নিজের গ্লাভস ঠিক করছিলাম। তার পরেই কাঁধে ধাক্কা খেলাম। তবে এ রকম হতেই পারে। এটাই ক্রিকেট। মাঠের লড়াই মাঠেই থাকুক।”