ক্লিফ এবং মেলানিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
সময়োচিত পদক্ষেপ আর কঠোর পরিশ্রম যে সাফল্য এনে দেয় তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে বিশ্ব জুড়ে। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার এই দম্পতির কাহিনিও চমকে দেওয়ার মতো। প্রায় আট বছর আগে স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বে পা রেখেছিলেন তাঁরা। এখন বিশ্বজুড়ে তাঁদের ব্যবসা প্রায় ১,২০০ কোটি ডলারের (প্রায় সাড়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকা)।
ক্লিফ ওবরেচ্ড এবং মেলানিয়া পারকিন্স। গ্রাফিক ডিজাইনিং প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যানভা’র যুগ্ম-প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় ধনী মহিলার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ৩৪ বছরের মেলানিয়া। তখনও ক্লিফের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁরা বিয়ের করেন। দু’জনের এক সঙ্গে পথ চলা শুরু অবশ্য তারও অনেক আগে। ২০১৩ সালে ‘ক্যানাভা’ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে।
মেলানিয়ার গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কোনও প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমিউনিকেশন’ নিয়ে পড়ার সময় ডিজিটাল মিডিয়া এবং গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। নিজের উদ্যোগেই শুরু করেন পড়াশোনা। ওই বিষয়ে এতটাই দক্ষতা অর্জন করেন যে বছর খানেক পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘আংশিক সময়ের শিক্ষক’ হিসেবে বিষয়টি পড়ানোর আমন্ত্রণ জানান। সেটা ২০০৮ সালের কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সময়ই বাজার চলতি ডিজাইনিং সফ্টঅয়্যারগুলির নানা খামতি নজরে পড়েছিল মেলানিয়ার। ততদিনে ক্লিফের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তাঁর। নানা পরিকল্পনার পরে দু’জনে মিলে গড়ে তোলেন ‘ক্যানাভা’। আর এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রাক্তন গুগল আধিকারিক ক্যামেরন অ্যাডামস।
সম্প্রতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্টার্ট-আপ-এর স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁদের সংস্থা। ‘ক্যানাভা’ ৩০ শতাংশ অংশিদারিত্ব রয়েছে এই দম্পতির কাছে। মেলানিয়া সংস্থার সিইও। ক্লিফ ‘চিফ অপারেটিং অফিসার’ (সিওও)।
৩৫ বছরের প্রাক্তন কর্পোরেট কর্মী ক্লিফ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তা এখন প্রমাণিত। আমরা চাই বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানির কর্ণধার হতে। আমরা ঠিক লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।’’