গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আবেদন জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের জনগণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে পদক্ষেপ করতে হবে। আমাদের সামনে এখন একটাই পথ— আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করা।’’
আফগান জনগণের ‘স্বার্থের প্রসঙ্গও এসেছে ইমরানের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি আফগানিস্তানকে অবহেলা করি, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের অর্ধেক মানুষ এখন সঙ্কটে আছে। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে ওই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাবেন।’’
আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরে তালিবান সরকার তৈরি করলেও আমেরিকা, ভারত-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে বন্ধ হয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়ার পথ। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের জন্য সাহায্যের পথ খুলতে ইসলামাবাদ মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেই ইমরানের মন্তব্য শুনে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ইমরান দাবি করেছিলেন, সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)-এর বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করুক তালিবান। কিন্তু সেই দাবি মানতে চায়নি ভারত-সহ সার্ক-এর অন্যান্য সদস্য-দেশ। তার ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে সার্ক-এর পার্শ্ববৈঠক ভেস্তে যায়।
তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনও রাষ্ট্রপুঞ্জে সক্রিয় হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের একটি অংশের ধারণা। কারণ, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা চলে যাওয়ার পরে সেখানে বাণিজ্যিক তথা কৌশলগত আধিপত্য দখলে বেজিং আগ্রহী। তালিবান সরকার গড়ার পর চিন আগ বাড়িয়ে তাদের স্বীকৃতিও দিয়েছে।