প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা। লেবাননে সক্রিয় শিয়া সংগঠনটির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তর ইজ়রায়েলের লোয়ার গ্যালিলি সেনা এবং বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজ়বুল্লার একটি অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। হামলা চালিয়েছে বেক্কা উপত্যকার জনবসতি অঞ্চলেও। ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীর তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, লেবাননের যে জায়গা থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে, সেই জায়গা লক্ষ্য করে ‘প্রত্যাঘাত’ করা হয়েছে। তবে হামলা এবং পাল্টা হামলা— দু’টি ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
ইজ়রায়েলি ফৌজের লোয়ার গ্যালিলি সেনা এবং বিমানঘাঁটির অবস্থান লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার রাতে হিজ়বুল্লা বাহিনী ওই ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৬০টি ‘কাতুসা’ রকেট ছোড়ে। তবে ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ রকেটকেই ধ্বংস করে দেয় বলে তেল আভিবের দাবি। কয়েক দিন আগে দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি গ্রামে ইজ়রায়েলি সেনার অনুপ্রবেশের জবাব দিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজ়বুল্লা। উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। হিজ়বুল্লা কথার অর্থ ‘আল্লার দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থেকেছে। ১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজ়বুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।