সালটা ২০১৯। তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একলা চলো রে’ গানটা পারফর্ম করছে একটা ব্যান্ড।
তার ঠিক আগের বছরই দিল্লিতে পারফর্ম করে গিয়েছে ব্যান্ডটি।১৯৫১ সালের বলিউড ফিল্ম ‘আওয়ারা’-র গান গেয়ে বিপুল হাততালি কুড়িয়েছে তারা।
ব্যান্ডটা কিন্তু ভারতীয় নয়, উজবেকিস্তানের ব্যান্ড। নাম হাভাস গুরুহি। তার প্রতিটা সদস্যই উজবেকিস্তানের নাগরিক।
অবাক লাগছে? বিস্ময় লাগারই মতো বিষয়। উজবেকিস্তানের মানুষের মুখে যদি পরিষ্কার ভাষায় বাংলা বা হিন্দি গান শোনা যায়, তাহলে সেটা বিস্ময়েরই বিষয়।
এটা আসলে একটা ফ্যামিলি ব্যান্ড। বাবা-মা এবং তাঁদের চার সন্তান মিলে তৈরি করেছে এই ব্যান্ডটি।
কে কে রয়েছেন এই ব্যান্ডে? ব্যান্ডে মূলত গান করে ২৬ বছরের গুলমজনভ কাখরামন।
এছাড়া ওই ব্যান্ডে রয়েছে ৪৮ বছরের রুস্তামজন গুলমজনিভিচ। তিনি কাখরামনের বাবা। এই গ্রুপের অন্য সদস্যেরা হলেন গুলমজনিভিচের স্ত্রী আরমাটোভা মাতলুবা এবং আরও তিন সন্তান। গুলামজানোভা সাখনোজা, গুলামজানোভা দস্তনবেক এবং ১১ বছরের রবিয়াখন।
শুধু হিন্দিই নয়, ভারতীয় মিউজিকের উপরে তাঁদের এতটাই আগ্রহ যে, মরাঠি, পঞ্জাবি, তামিল গানও শিখছেন তাঁরা।
দিল্লি, আগ্রা, মুম্বই এবং কোয়মবত্তুরে অনুষ্ঠানও করে গিয়েছেন তাঁরা। এমনকি পুণেতেও তাঁরা পারফর্ম করেছে।
উজবেকিস্তানের লোক হয়ে হঠাৎ ভারতীয় গানের প্রতি এত আগ্রহ গড়ে উঠল কেন?
এক সাক্ষাত্কারে কাখরামন জানিয়েছিলেন, উজবেক মিউজিকের সঙ্গে দারুণ মিল রয়েছে ভারতীয় মিউজিকের।
তাছাড়া বলিউড ফিল্মও উজবেকিস্তানে খুব জনপ্রিয়। তাঁরাও ছোট থেকে বলিউড ফিল্ম দেখেই বড় হয়েছেন। হিন্দি গান শুনে এসেছেন।
ছোট থেকেই তাই তাঁদের মধ্যে ভারতীয় মিউজিক বিশেষ করে বলিউড গানের প্রতি দারুণ আগ্রহ জন্মে গিয়েছে।