সুন্দর পিচাই। —ফাইল চিত্র।
নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলছে টুইটার-সহ একাধিক সংস্থার। তার মধ্যেই ইন্টারনেটের স্বাধীন এবং মুক্ত ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন গুগল প্রধান সুন্দর পিচাই। সরাসরি কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা ইন্টারনেটের। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশই এই তথ্য সরবরাহকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে। ইন্টারনেটের স্বাধীন এবং মুক্ত ব্যবহারে আঘাত হানা হচ্ছে।’’
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ইন্টারনেটের গুরুত্ব নিয়ে একটি আলোচনায় অংশ নেন পিচাই। সেখানে নেটমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন দেশ যে কড়া আইন চালু করছে, তা নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়। তার জবাবেই এমন মন্তব্য করেন পিচাই। তিনি বলেন, ‘‘কোন কথা বলা উচিত, কোন কথা নয়, তা নিয়ে সর্বত্রই তর্কবিতর্ক চলছে। আর তা করতে গিয়ে কড়া আইনকানুন এনে তথ্য সরবারহকে নিষিদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে। আমার মনে হয়, তাতে আখেরে আমাদের ক্ষতিই হচ্ছে।’’ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে সামনে রেখে প্রত্যেক দেশের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত বলেও মত পিচাইয়ের।
নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি, ভিডিয়োর উপর নজরদারি রাখতে সম্প্রতি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশোধন ঘটিয়ে কড়া বিধি চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো নেটমাধ্যমকে প্রত্যেক পোস্টের উৎস জানাতে হবে। ওটিটি মাধ্যম, এমনকি টিভি চ্যানেলগুলিকেও নয়া বিধির আওতায় আনা হয়। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সংবিধানে উল্লেখিত বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করে টুইটার। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও যায় তারা। সেই পরিস্থিতিতে পিচাইয়ের এই মন্তব্য।