Congress

Adhir Chowdhury: লোকসভায় অধীরের বদলি হতে রাজি নন রাহুল? আলোচনার জন্য ৫ জনের নাম

শশী তারুর ও মণীশ তিওয়ারির নাম জাতীয় রাজনীতিতে বারবার উঠে এসেছে। পাশাপাশি, গৌরব গগৈ, রণভিত সিংহ বিট্টু ও উত্তমকুমার রেড্ডিও পরিচিত মুখ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১ ১৮:৫৩
Share:

ফাইল ছবি

লোকসভার কংগ্রেসের নেতার পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরানো হতে পারে, কংগ্রেসের দলীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনই খবর সংবাদ সংস্থার। সূত্রের খবর, এই দৌড়ে নেই রাহুল গাঁধী। শেষ কয়েক দিন ধরে কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি সনিয়া গাঁধীকে একাধিক বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন দেশের নানা প্রান্তের কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে দলনেতা করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

এখনও অবধি কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে উঠে এসেছে ৫টি নাম। তালিকায় রয়েছেন শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারি, গৌরব গগৈ, রণভিত সিংহ বিট্টু ও উত্তমকুমার রেড্ডি। এঁদের মধ্যে গৌরব সংসদে উপ দলনেতা হিসাবে কাজ করছেন। রণভিত লুধিয়ানা কেন্দ্রের সাংসদ। তেলঙ্গানার নালগোন্দা আসন থেকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেন উত্তমকুমার। গাঁধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানে। ১৯ জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখেই এই পরিবর্তন করা হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচক অধীরকে সরাতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব?

Advertisement

অধীরের প্রতি কংগ্রেসের এই অসন্তোষের কারণ নীলবাড়ির লড়াইয়ে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফল, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকেই এর দায় চাপিয়েছেন অধীরের উপরেই। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মমতার প্রতি যথেষ্ট নরম থাকলেও অধীর লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। আর সেই কারণেই জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের সেতুবন্ধনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অধীর।

অন্য দিকে, বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি-বিরোধী মুখ হিসাবে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন মমতা। কারও কারও মনে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে পরাস্ত করার পর কেন্দ্রীয় বিজেপি বিরোধী জোটের পয়লা নম্বর মুখ হতে পারেন মমতা। এই পরিস্থিতিতে অধীরের উপস্থিতি কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যাতে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেই কারণেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আপাতত আঞ্চলিক রাজনীতিতেই আটকে রাখতে চাইতে পারে দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement