কাবুল বিমানবন্দর ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
তালিবান কাবুল দখল করার পর রবিবার থেকেই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিমানবন্দরে ছুটেছেন হাজার হাজার জনতা। কোনও রকমে বিমান ধরতে চাইছেন তাঁরা। বিমানবন্দরে এই অরাজকতার মধ্যেই অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, বিমানবন্দরে প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই গুলি চলে। গুলির আওয়াজ পেয়েই সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করেন। কেউ বিমানে ওঠার চেষ্টা করেন। আবার কেউ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময়ই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মত, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। অবশ্য এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। এখনও বিমানবন্দর চত্বরে পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল বলেই জানিয়েছে রয়টার্স। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুর থেকে কাবুলে তালিবান ঢুকতেই ভিড় জমতে শুরু করে রাজধানীর বিমানবন্দরে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের বহু দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছিলেন আফগান নাগরিকরাও। সোমবার সকালেও ধরা পড়ে সেই ছবি। শেষ সম্বল নিয়ে আফগান নাগরিকদের হুড়মুড়িয়ে বিমানে ওঠার দৃশ্য ভাইরাল নেটমাধ্যমে।
সেই অরাজকতার মধ্যেই গুলি চালায় আমেরিকার সেনা। এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থাকে জানান, বেশ কয়েক জন আফগান নাগরিক বিমান বন্দরের টারম্যাকে ভিড় জমাতেই শূন্যে গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে আমেরিকার সেনা। তার পরেই বিমানবন্দর চত্বরের পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।