বিস্ফোরণের জেরে নোভা কাকোভকা বাঁধ ভাঙার পর থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে জলাভাব দেখা দিয়েছে। ছবি: রয়টার্স।
শান্তির বার্তা নিয়ে ইউক্রেনে এসেছে আফ্রিকার প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। দলে আছেন আফ্রিকার একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন আজ়ালি আসাউমানিও। এরই মধ্যে আজ ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কিভ। দু’দুবার। হামলার ঠিক আগেই সাইরেন বেজে ওঠে। চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের। তার পর তাঁরা রাশিয়া পাড়ি দেবেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জোহানেসবার্গ থেকে বিমান ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিতেই ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের আঁচ বেড়েছে। আজ দলটির সফরের মাঝেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, কিভে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে মস্কো। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা টুইট করেছেন, ‘‘রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আসলে আফ্রিকার জন্য বার্তা: রাশিয়া আরও যুদ্ধ চায়, শান্তি নয়।’’
আফ্রিকার প্রতিনিধি দলে রামাফোসা ছাড়াও রয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন আজ়ালি আসাউমানি, জ়াম্বিয়া, সেনেগাল ও মিশরের প্রধানমন্ত্রী। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসেভেনি, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ডেনিস গুসেও, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতে এল-সিসিরও এই সফরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁরা না এসে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে কিভের কাছাকাছি বুচা শহরে এসে পৌঁছন সকলে। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রামাফোসা। একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘শান্তির বার্তা দিতেই এই অভিযান। কূটনীতির মাধ্যমে কী ভাবে সমঝোতায় পৌঁছনো যায়, সে বিষয়েই উৎসাহ দেওয়া হবে দুই দেশকে।’’
রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশকেই সমঝোতার কথা বলবে প্রতিনিধি দল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাশিয়াকে পিছু হটতে অনুরোধ করা হবে, বেলারুস থেকে পরমাণু অস্ত্র সরানোর আর্জি জানানো হবে, আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যে গণহত্যার মামলা রয়েছে, তা-ও প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হবে ইউক্রেনের কাছে।