Death in Plane

বিমান অবতরণ করতে না করতেই জ্ঞান হারান সেবিকা, তার পরেই মৃত্যু, তদন্তে জানা গেল কারণ

প্রাণ বাঁচানো যায়নি ২৪ বছরের বিমানসেবিকার। সেই নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই তদন্ত শেষেই জানা গেল, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল তরুণী গ্রেটা ডিরমিশির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৭
Share:

অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ বাঁচানো যায়নি ২৪ বছরের বিমানসেবিকার। ছবি: প্রতীকী

লন্ডনে বিমান নামতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান এক সেবিকা। ছুটে আসেন চিকিৎসকরা। অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ বাঁচানো যায়নি ২৪ বছরের বিমানসেবিকার। সেই নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই তদন্ত শেষেই জানা গেল, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল তরুণী গ্রেটা ডিরমিশির। আদালত বলল, সাডেন অ্যাডাল্ট ডেথ সিনড্রোম (এসএডিএস)-এই মৃত্যু হয়েছিল বিমান সেবিকার।

Advertisement

মৃত্যুর তদন্তকারী আধিকারিক মিশেল ব্রাউন আদালতে বলেন, ‘‘আলবানিয়া ফেরত একটি বিমানে কর্মরত ছিলেন ২৪ বছরের গ্রেটা ডিরমিশি। বিমান অবতরণ করতেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর।’’ মিশেল জানান, ১০ মিনিট পর আর গ্রেটার পালস পাওয়া যায়নি। চিকিৎসাকর্মীরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেটার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে দেখা যায়, এসএডিএসে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, কারও আচমকা, অপ্রত্যাশিত ভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হলে, সেই লক্ষণকে বলা হয় এসএডিএস। এ ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ব্রিটেনে ৫০০ জনের এই এসএডিএসে মৃত্যু হয়।

Advertisement

গ্রেটার মৃত্যু তাঁর সহকর্মীদের কাছে দারুণ অপ্রত্যাশিত ছিল। তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল এয়ার আলবানিয়া। জানিয়েছিল, ‘‘২১ ডিসেম্বর লন্ডনে অবতরণের পর বিমান থেকে যাত্রীরা নেমে গেলে আমাদের এক বিমান সেবিকার মৃত্যু হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।’’ বিমান সংস্থা জানায়, লন্ডনের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গ্রেটাকে। প্রথম থেকে তাঁর পরিবারকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল। কঠিন সময়েও তাঁর পরিবারের পাশে থেকেছে সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement