বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে। — ফাইল ছবি।
হাই কোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী। তবে ওই নিয়োগপত্র তিনি নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তা সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।
অঞ্জনের মামলাটি প্রায় ১২ বছরের পুরনো। পূর্ব মেদিনীপুরের ওই ব্যক্তির একটি চোখ নষ্ট। গত মাসে হাই কোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পর স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) অঞ্জনের চাকরির সুপারিশপত্র পাঠায় পর্ষদকে। কিন্তু তার পরেও তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অঞ্জনের অভিযোগ। পর্ষদ যদিও দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশ মতো অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও নির্দেশ মানা হয়েছে এই যুক্তিতে বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি এটা পরিষ্কার। অঞ্জনের হেনস্থা প্রসঙ্গে বিচারপতি সিংহ বলেন, ‘‘হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।’’ অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।