রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আপাতত পঞ্চায়েত ভোটকেই ‘অগ্রাধিকার’ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। — ফাইল ছবি।
আপাতত পঞ্চায়েত ভোটকেই ‘অগ্রাধিকার’ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তার পরেই রাজ্যের সব জায়গায় হবে ছাত্র সাংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ছাত্রভোটের দাবিতে বার বার সরব হয়েছে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি। ব্রাত্য আগে জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। বৃহস্পতিবার সেই ব্রাত্যই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও তাঁর কথা হয়নি। তবে ছাত্র সাংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটে সংস্কৃত কলেজের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও দিন কথা হয়নি। আমরা বলেছি যে, ছাত্র নির্বাচন করব। একটা বিশ্ববিদ্যালয় ধরে তো হবে না। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই হবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে রয়েছে। এখন অগ্রাধিকারে পঞ্চায়েত ভোট। কেউ যদি বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করতে চান, করতে পারেন।’’
এর পরেই ব্রাত্য আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কখন, কী ভাবে হবে ছাত্রভোট। তাঁর কথায়, ‘‘যখন ছাত্র সাংসদ নির্বাচন হবে, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একই টাইম জ়োনে হবে। হয়তো একই দিনে নয়। হয়তো দক্ষিণবঙ্গে এক দিনে হল। উত্তরবঙ্গে এক দিনে হল। পশ্চিমাঞ্চলে হবে এক দিনে। আশা করছি, পঞ্চায়েত ভোটের পরে খুব দ্রুত ছাত্র সাংসদ নির্বাচন করতে পারব।’’
বৃহস্পতিবারও যাদবপুরে ছাত্র সাংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সংগঠন ফেটসু। সেখানে সমাবর্তনের দিন রাজ্যপালের গাড়ি আটকেছিলেন ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। ছাত্রভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ফেটসু ও এসএফআই। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পরে দু’জন প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়ে ক্যাম্পাসেই কথা বলেন। জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের দাবি বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও একই কারণে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসএফআই। এই আবহে রাজ্যের সকল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সাংসদ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য।