গর্ভবতী ঝাও ইউ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
গর্ভাবস্থায় হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবা করে চলেছেন নার্স। তা নিয়ে বড়াই করতে গিয়ে এ বার মুখ পুড়ল চিনের। দেশের অন্দরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাদের। গর্ভবতী ওই মহিলাকে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বদলে, তাঁকে নিয়ে সরকার সস্তার প্রচারে নেমেছে বলে অভিযোগ করছেন সে দেশের নাগরিকরা।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত তিন মাস ধরে ধুঁকছে চিন। এখনও পর্যন্ত ৭৭ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪০০ জনের।
কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতি সামান্য হলেও শুধরেছে বলে দাবি চিনা প্রশাসনের। চিকিৎসা কর্মীদের তৎপরতায় আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে বলে দাবি তাদের। তা প্রমাণ করতেই সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বেজিং। তাতে দেখা গিয়েছে, ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও, হাসপাতালে রোগীদের সেবা করে চলেছেন ঝাও ইউ নামের এক নার্স।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বড়াই জিইয়ে রাখতে ফের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন মোদী
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনা, গোয়ায় ভেঙে পড়ল নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমান
নিজের ইচ্ছাতেই ওই নার্স করোনা আক্রান্তদের সেবা করে চলেছেন বলে ভিডিয়োয় দাবি করা হয়। কিন্তু সেটি চোখে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উইবো’-তে ক্ষোভ উগরে দেন সে দেশের নেটাগরিকদের একাংশ। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বদলে, ওই নার্সকে নিয়ে সরকার সস্তার প্রচারে নেমেছে বলে তোপ দাগেন কেউ কেউ। করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে জেনেও, ওই মহিলাকে দিয়ে কেন কাজ করানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মারফত বেশ কিছু নার্সের চুল কেটে ফেলার ভিডিয়োও প্রকাশ করেছে চিন। তাতে মাথা মুড়িয়ে ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। তা নিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিন সরকারকে। এ ভাবে ক্যামেরার সামনে নার্সদের মাথা মোড়াতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। তাঁদের অভিযোগ, দিন রাত এক করে খেটে চলেছেন ওই চিকিৎসা কর্মীরা। তা নিয়ে প্রশংসা করার বদলে, চুল কেটে ফেলা নিয়ে হইচই করা হচ্ছে।