হংকংয়ের হাসপাতালের বিচ্ছিন্নবাস। ছবি: সংগৃহীত।
লন্ডন থেকে হংকং বিমানবন্দরে আসার পরেই নিয়ম মাফিক আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হয়েছিল ড্যারিল চ্যানের। কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিচ্ছিন্নবাসে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। তার পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও ড্যারিল এখনও হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে আটক রয়েছেন। কবে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে, তা তিনি জানেন না।
ড্যারিল একা নন, তাঁর মতো পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন চিন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ে আসা অনেকেই। চিনের মূল ভূখণ্ডের মতো হংকংয়েও ‘শূ্ন্য কোভিড নীতি’ অনুসরণ করা হচ্ছে কঠোর ভাবে। বিদেশিদের আসার উপর জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। জরুরি প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কেউ এলে তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষা হচ্ছে বিমানবন্দরে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁকে পাঠানো হচ্ছে তিন সপ্তাহের বিচ্ছিন্নবাসে। যদিও তার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এমনকি যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ, তাঁদেরও সরকারি হেফাজতে নিয়ে বিচ্ছিন্নবাসে রাখা হচ্ছে।
ব্রিটেনের বাসিন্দা ড্যারিল চাকরিসূত্রে গত ১৯ ডিসেম্বর হংকং এসেছিলেন। দু’টি টিকা এবং বুস্টার নেওয়া সত্ত্বেও তিনি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপে সংক্রমিত হন। যদিও হংকং আসার আগে ব্রিটেনে পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কোনও উপসর্গ না থাকলেও ড্যারিলকে রাখা হয়েছে হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, গত দু’সপ্তাহে হংকংয়ে বেশ কিছু ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর পর চিন নিয়ন্ত্রিত ওই ভূখণ্ডের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম গত ২৮ ডিসেম্বর জানান, ‘শূ্ন্য কোভিড নীতি’ কার্যকর করতে প্রয়োজনে আরও কিছু কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।