চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ফাইল চিত্র।
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নতুন সংবিধান অনুযায়ী আরও ক্ষমতা বাড়ল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। শনিবার সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন পাওয়া নতুন সংবিধানে একাধিক বিষয়ে বদলের কথা বলা হয়েছে। নয়া সংবিধান মোতাবেক, রেকর্ড তৃতীয় বারের জন্য চিনের মসনদে বসতে চলা জিনপিংয়ের ক্ষমতা বাড়িয়ে যেমন সে দেশের প্রাক্তন সর্বাধিনায়ক মাও-জে-দংয়ের সমতুল করা হচ্ছে, তেমনই চিনের সমাজব্যবস্থার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির কথা বলা হয়েছে। এর ফলে চিনে একদলীয় এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনের ভিতকে আরও পোক্ত করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিই দেশের সমাজ এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে। এ-ও বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য এবং দলের অন্য কর্মীরা জিনপিংকে সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে মেনে নেবেন। এর ফলে চিন এবং সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে জিনপিংয়ের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হল বলেই মনে করা হচ্ছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নতুন লক্ষ্য হিসেবে সে দেশের সমাজতন্ত্রকে সময়োপযোগী করা এবং চিনের সংস্কৃতিকে আরও উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলা হয়েছে।
প্রথম বারের জন্য তাইওয়ান নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। এর আগে সরকারের তরফে এই বিষয়ে মুখ খোলা হলেও এতকাল নীরবই ছিল সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি। অবশেষে নীরবতা ভেঙে কমিউনিস্ট পার্টির সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না দল। এই বিষয়ে দেশের ‘বিচ্ছিন্নতাকামীদের’ দুর্বল করে ‘মাতৃভূমির ঐক্যসাধনে’ সবাই মিলে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।