pakistan

Pakistan and China: কাশ্মীর নিয়ে ‘একতরফা পদক্ষেপ’-এর বিরোধিতা করবে চিন, ইমরানকে ‘আশ্বাস’ জিনপিংয়ের

জিনপিং ইমারনকে বলেছেন, সারা পৃথিবী এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চিন-পাক সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব প্রকট হয়ে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেজিং শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:০৭
Share:

বিভিন্ন উন্নযনমূলক প্রকল্পে পাকিস্তানকে সহযোগিতার আশ্বাস চিনের। ফাইল ছবি।

শীতকালীন অলিম্পিক্সের অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চারদিনের সফরের শেষ দিনে চিনের সঙ্গে কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন বলে খবর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন জিনপিং। বেজিংয়ের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুর ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘সুষ্ঠু’ সমাধানের কথা বলেছে চিন। ইমরানকে জিনপিং জানান, এমন কোনও একতরফা পদক্ষেপ করা হবে না, যাতে কাশ্মীর ইস্যু জটিল হয়ে ওঠে।

Advertisement

উল্লেখ্য, পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে কারাকোরাম পেরিয়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। সিপিইসি প্রকল্পের এই অংশ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে চিন।

চিনের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক প্রকল্পে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রযুক্তি, শিল্প এবং কৃষিতেও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে চিন। অন্য দিকে, পাক সংবাদ সংস্থার দাবি, জিনপিং ইমারনকে বলেছেন, সারা পৃথিবী এক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চিন-পাক সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। অতীতে ভারত-পাকিস্তান ইস্যু এবং কাশ্মীর নিয়ে চিনের যৌথ বিবৃতিকে দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। সাফ জানিয়ে দেওযা হয, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের পাশাপাশি লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

Advertisement

এ দিকে ভারতকে নিয়ে চিনের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন ইমরান। সূত্রের খবর, কথা হয় কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও। ইমরান ও জিনপিংয়ের বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’পক্ষই শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নশীল দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সব সময় সওয়াল করে এসেছে। চিন ও পাকিস্তানের এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক সহযোগিতা বজায় থাকবে। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যকে সমান গুরুত্ব দেবে দুই দেশ।

চিনের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সঙ্গে চিনে গিয়েছেন। ইমরানকে জ্বালানি, তৈল পরিশোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আবাসন ক্ষেত্রে চিনা প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ নিয়েও জিনপিং আশ্বাস দেন বলে দাবি সে দেশের সংবাদ সংস্থার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement