চিনের বেশ কিছু শহরে জারি হল লকডাউন। —ফাইল ছবি।
সপ্তাহব্যাপী ছুটির পর আবারও কোভিড সংক্রমণ বাড়ল চিনে। তড়িঘড়ি সক্রিয় হল প্রশাসন। বেশ কিছু শহরে জারি হল লকডাউন। যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পরের সপ্তাহে বেজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক রয়েছে। তার আগে এতটুকু ঢিলেমি দিতে চায় না সরকার। এ দিকে জনগণের আশা, ওই বৈঠকে কোভিড নীতি শিথিল করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার উত্তর চিনের শাংসি প্রদেশের ফেনিয়াং শহরে জারি করা হয়েছে লকডাউন। রবিবার শহরে গণ হারে কোভিড পরীক্ষা করায় প্রশাসন। তাতেই বহু আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মঙ্গোলিয়া প্রদেশের রাজধানী হহ্হটেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে শহরের বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। গত ১২ দিনে এখানে মোটি দু’হাজার আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
১ অক্টোবর থেকে চিনে জাতীয় দিবসের ছুটি শুরু হয়েছে। তার পরেই সংক্রমণ বেড়েছে। ছুটির পর দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে আঠারোশোতে দাঁড়িয়েছে। আগে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ছ’শো। এখন মঙ্গোলিয়া এবং জিনজিয়াং প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। প্রতিদিন সেখানে কয়েকশো জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। বছরের শুরুতে সাংহাইয়ে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। সোমবার থেকে সাংহাইয়ের দু’টি জেলায় সিনেমা হল ও অন্য প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিন এখনও জিরো কোভিড-নীতি মেনে চলছে। তার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে সে দেশের ছোট ব্যবসা। অর্থনীতিও বিপাকে। তবু জিরো কোভিড নীতি থেকে সরছে না সরকার। রবিবার থেকে সে দেশে শাসক কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশ শুরু। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হয় এই সমাবেশ। জনগণের আশা, এই সমাবেশে কোভিড নীতি শিথিল করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।