বাংলাদেশের চার মেধাবী পড়ুয়া আত্মীয়দের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নাসায় যাচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত।
নাসা থেকে নিমন্ত্রণ এসেছে। কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার রেস্ত নেই। এ ভাবে একবার আমন্ত্রণ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় বার নিমন্ত্রণ ‘মিস্’ করতে চান না আদনান, মইনুল, মেহেদি, সাব্বিররা। অতঃপর, আমেরিকা যাওয়ার খরচ তুলতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের কাছে হাত পাতছেন বাংলাদেশের সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলিক’-এর সদস্যরা।
২০১৮-য় নাসার আন্তর্জাতিক ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে’ নাম দিয়েছিল চার মেধাবী পড়ুয়ার ‘টিম অলিক’। ৭৯টি দেশের ২,৭২৯টি দলকে টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তাঁরাই। সেই সুবাদে ২০১৯ সালে প্রথম বার নাসা যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানের এসএন রাফি আদনান, ভূগোলের কাজি মইনুল ইসলাম, পরিবেশবিদ্যার আবু সাবিক মেহেদি ও সাব্বির হাসান। কিন্তু ভিসা সমস্যায় সে বারে আর সাগরপাড়ে যাওয়া হয়নি টিম অলিকের। গত বছর আবার নাসায় যাওয়ার নিমন্ত্রণ পান আদনানরা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ভিসাও দিয়েছে ঢাকার আমেরিকার দূতাবাস। এ বার আর নিজের চোখে নাসা ঘুরে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তাঁরা। তাই খরচ তুলতে আত্মীয়, বন্ধুদের কাছে ধারদেনা করতে শুরু করেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, টিম অলিকের অন্যতম সদস্য মইনুল বলেন, ‘‘আমরা নাসায় যাচ্ছি, এটা নিশ্চিত। স্পনসর না পাওয়ায় আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ করে টিকিট বুক করেছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা স্পনসর পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমেরিকার বাঙালি কমিউনিটি আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। মোট খরচ হবে ১৫ লক্ষ টাকা।’’
জানা গিয়েছে, আগামী ১২ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা আমেরিকার ওয়াশিংটনে থাকবেন। ১৫ ও ১৬ মার্চ নাসার সদর দফতরে তাঁদের অনুষ্ঠান। আত্মীয়স্বজনের কাছে হাত পাতলেও মইনুল, আদনানরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা চাননি। তাঁরা চান, নিজেদের উদ্যোগেই আমেরিকায় গিয়ে নাসা ঘুরে দেখতে।