এসএসসির গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
১২০ মিনিট সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ৮৯ মিনিটেই এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, এমন ৫৭ জন গ্ৰুপ সি কর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ করে দিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ!
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানিতে দুপুর ১টা ২ মিনিটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন— ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা এসএসসিকে প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ বিকেল ৩টে ২ মিনিট পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। (তবে বিচারপতি মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, ৩টে ১৫-য় এজলাসে ফিরে তালিকা দেখতে চান তিনি)।
সেই সময়সীমার ঢের আগে, ২টো ৩১ মিনিটেই এসএসসির ওয়েবসাইটে সুপারিশ ছাড়া চাকরি পাওয়া ৫৭ জন গ্ৰুপ সি কর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হল। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা মেনেই সাড়ে ৩টেতে আবার এই মামলার শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেয় এসএসসি। তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপারিশপত্র না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না! এই ৫৭ জনের ক্ষেত্রে এসএসসি অফিস থেকে কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সন্দীপ প্রসাদের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করেন, ‘‘সুপারিশপত্র ছাড়া কী ভাবে চাকরি পেলেন এই ৫৭ জন। কে তাঁদের সুপারিশপত্র দিল? শান্তিপ্রসাদ সিংহ (নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এসএসসি উপদেষ্টা)?’’ এর পরেই দু’ঘণ্টার মধ্যে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর ‘অতি সক্রিয়’ এসএসসি তা পালন করল দেড় ঘণ্টার মধ্যেই!