Australian Crocodile Survivor

জলে নামার পরে হঠাৎই পায়ে কামড়, প্রাণ বাঁচাতে কুমিরের চোখে পাল্টা কামড় পশুপালকের

পা দিয়ে অনবরত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় ওই বৃদ্ধ পশুপালককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কুমিরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিআক্রমণেই ভরসা রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক পশুপালক। মূলত এই কৌশল অবলম্বন করেই এই যাত্রায় রক্ষা পেলেন তিনি। তাঁর বেঁচে ফেরার কাহিনি সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ওই পশুপালকের সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন নেটাগরিকদের একটি বড় অংশ।

Advertisement

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশায় পশুপালক কলিন ডেভারক্স গরুদের কুমিরের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে ফিন্নিস নামের একটি নদীর ধারে বেড়া লাগাতে গিয়েছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে নদী সংলগ্ন একটি হ্রদের হাঁটুজল পেরোতে গিয়ে কুমিরের হানার মুখে পড়েন তিনি। ষাটোর্ধ্ব কলিনের ডান পা কামড়ে ধরে ৩.২ মিলিমিটারের একটি কুমির। প্রাণ বাঁচতে বেশি কিছু না ভেবেই কুমিরের একটি চোখ কামড়ে ধরেন ওই বৃদ্ধ পশুপালক। তার পরেই পিছু হটতে থাকে কুমিরটি। শেষে কলিনকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র সরে যায় সে।

পা দিয়ে অনবরত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় ওই বৃদ্ধ পশুপালককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বিবিসি-কে কলিন জানান, “আমার হাতে অন্য কোনও উপায় ছিল না। হঠাৎ মাথায় আসে যে, একমাত্র কুমিরটির চোখে কামড়ে দিলেই তাকে জব্দ করা যাবে।” তার পরে তাঁর সংযোজন, “কামড়ে ধরতেই মনে হল একটা মোটা চামড়ায় দাঁত বসালাম। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। এই ভাবে বেশ কিছু সময় থাকার পর কুমিরটি আমায় ছেড়ে দেয়।”

Advertisement

কলিনের পায়ের অবস্থা খতিয়ে দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই লাঠি ধরে হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি। তবে প্রথম দিকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সকলেই। কারণ জলাশয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়ায় ওই বৃদ্ধের পায়ের ক্ষতয় সংক্রমণ ছড়াতে পারত। তবে আপাতত সুস্থ হওয়ার পথেই এগোচ্ছেন কলিন। স্রেফ উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এই যাত্রায় প্রাণরক্ষা করতে পেরেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement