যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর পর লড়াইটা কার্যত ছিল একপাক্ষিক। ইরান কিংবা সিরিয়ার হামাসপন্থী সংগঠনগুলি ইজ়রায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে গেলেও তেল আভিভের প্রত্যাঘাতের কাছে তা ছিল নগণ্য। কিন্তু এ বার গাজ়া শহরে ইজ়রায়েলি সেনা প্রবেশ করার পর হামাসের সঙ্গে সরাসরি লড়াই শুরু হল তাদের। দু’পক্ষেরই দাবি, লড়াইয়ে পিছু হটছে অপর পক্ষ।
অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও মানবিক কারণে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করার বিষয়ে অনড় মনোভাবই বজায় রাখছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরও এক বারের জন্য জানিয়ে দিয়েছেন যে, হামাসের দ্বারা অপহৃত পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছেন না তাঁরা।
নিজেদের দাবির সমর্থনে একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ করছে হামাস এবং ইজ়রায়েলি সেনা— দু’পক্ষই। ইজ়রায়েলি বাহিনীর অত্যাচার তুলে ধরতে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠনটি। তাদের তরফে এ-ও দাবি করা হয়েছে, তাদের হামলায় ‘বিপুল ক্ষতি’ হয়েছে ইজ়রায়েলি সেনার। যদিও এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজ়া শহরে এখন লড়াই চলছে শিফা হাসপাতালকে কেন্দ্র করে। ইজ়রায়েলের দাবি হামাসের মূল সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ওই হাসপাতালেই আশ্রয় নিয়েছে। যদিও ইজ়রায়েলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হামাস নেতৃত্বও।
হামাসকে কোণঠাসা করতে সম্প্রতি গাজ়ার ১৩০টি সুড়ঙ্গপথ বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। হামাস এই সুদীর্ঘ এবং সুবিস্তৃত সুড়ঙ্গগুলির মাধ্যমেই গাজ়ায় সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে বলে মনে করছে ইজ়রায়েল। তাই হামাস-দমন অভিযানে এই সুড়ঙ্গ ধ্বংসকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তেল আভিভ।