ইজ়রায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজ়া ভূখণ্ড। — ফাইল চিত্র।
উত্তর এবং মধ্য গাজ়ার পরে এ বার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে সর্বাত্মক হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করার বার্তা দিল ইজ়রায়েলি সেনা। চূড়ান্ত পর্বের ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরুর আগের ওই এলাকার বাসিন্দা এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের এলাকা খালি করতে বলল তারা।
দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনুস শহর এবং আশপাশের এলাকায় রয়েছে একাধিক বড় শরণার্থী শিবির। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরে তেল আভিভের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে বেশ কয়েকটি শরণার্থী শিবির। ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটারের গাজ়া ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ বাসিন্দার ৭০ শতাংশই এখন ঘরছাড়া। ইজ়রায়েলি সেনার হুমকির জেরে উত্তর এবং মধ্য গাজ়া ছেড়ে দক্ষিণ গাজ়ায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।
ইজ়রায়েলি বিমান এবং হেলিকপ্টার থেকে বৃহস্পতিবার খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং কারারা এলাকায় আকাশ থেকে প্যালেস্টাইনিদের উদ্দেশে প্রচারপত্র ফেলা হয়েছে। তাতে লেখা— ‘‘নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে দ্রুত আপনাদের সরে যেতে হবে। আপনারা পরিচিত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর দিকে যাত্রা শুরু করুন।’’
দক্ষিণ গাজ়া লাগোয়া রাফা সীমান্ত দিয়ে প্যালেস্টাইনিদের মিশরে প্রবেশেও বিধিনিষেধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ গাজায় হামলা শুরু হলে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইজ়রায়েলি সেনার ধারাবাহিক আক্রমণে গাজায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ প্রায় ৩,০০০!