History of Congress

দিল্লি ডায়েরি: কংগ্রেসের নয়া দফতরে সুসজ্জিত ইতিহাস

নতুন ভবন উদ্বোধনের দিন দু’-দু’খানা সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে কংগ্রেসের পুরনো দফতর ২৪ নম্বর আকবর রোডে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, গত পাঁচ দশকের এই ঠিকানা এখনই কংগ্রেস হাতছাড়া করতে চাইবে না।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:০৯
Share:

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের মৃত্যুর পরে ২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে তাঁর মরদেহ ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে কংগ্রেসকে বহু দিন ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এ বার কোটলা মার্গে কংগ্রেসের নতুন দফতরের উদ্বোধন হল। গোটা ভবন জুড়ে ছবিতে লেখায় কংগ্রেসের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তাতে প্রয়াত নরসিংহ রাও থেকে গুলাম নবি আজ়াদের মতো কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়া নেতাদের ছবিও রয়েছে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার তত্ত্বাবধানে নতুন দফতরের সাজসজ্জায় শেষ প্রলেপ পড়েছে। তবে নতুন ভবনের উদ্বোধনে কেন সংবাদমাধ্যমকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের মধ্যেই প্রশ্ন, এ আবার কোন উর্বর মস্তিষ্কের বুদ্ধি? মজার কথা হল, নতুন ভবন উদ্বোধনের দিন দু’-দু’খানা সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে কংগ্রেসের পুরনো দফতর ২৪ নম্বর আকবর রোডে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, গত পাঁচ দশকের এই ঠিকানা এখনই কংগ্রেস হাতছাড়া করতে চাইবে না। বিশেষত যখন এই বাংলোর লাগোয়া বাড়িটিই হল ১০ নম্বর জনপথ, সনিয়া গান্ধীর সরকারি বাসভবন।

Advertisement

যাত্রাশুরু: কোটলা মার্গে কংগ্রেসের নতুন দফতরের উদ্বোধনে সনিয়া-রাহুল

পিসির জন্মদিনে

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্মদিন হত ধুমধাম করে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে আসতেন সরকারের রাঘববোয়ালরা, গোটা দেশের দলিত সম্প্রদায়ের নেতা কর্মীরা। দাঁড়িপাল্লার এক দিকে মায়াবতী বসতেন, অন্য দিকে সম ওজনের সোনা চাপানো হত। সে সুদিন আর নেই। দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে তিনি, কেন্দ্র-বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও তাঁর রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে। অন্য বিরোধীরা বিএসপি-কে বিজেপি-র ‘বি’ দলের তকমা দিয়েছেন। কিন্তু মায়াবতী বলে কথা, জন্মদিনে কোনও চমক থাকবে না, তা হয় না! সম্প্রতি লখনউয়ে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনতার সামনে প্রথম আবির্ভূত হলেন মায়াবতী পরিবারের নতুন সদস্য ঈশান আনন্দ। বিএসপি জাতীয় আহ্বায়ক, মায়াবতীর ভাইপো আকাশ আনন্দের এই কনিষ্ঠ ভ্রাতার বয়স ২২, লন্ডনে অধ্যয়নরত। এই প্রথম তাঁকে দলের অফিসে এসে নেতা, কর্মীদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখে গুঞ্জন, তা হলে কি নতুন নেতার উত্থান হচ্ছে পার্টিতে? দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য এখনই ঈশানের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে বলছে, নিছকই পিসির জন্মদিন উৎসবে যোগ দিতে লন্ডন থেকে এসেছেন।

Advertisement

কবীর ও রাষ্ট্রদূত

বক্তৃতায় সন্ত কবীরের পঙ্‌ক্তি তুলে আনলেন আমেরিকার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি ফেলে না রেখে অবিলম্বে আরও পোক্ত করার প্রসঙ্গে বললেন, “কাল করে সো আজ কর, আজ করে সো আব।” দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দু’টি দেশের পরিশ্রম এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য ফলপ্রসূ করে তোলা প্রসঙ্গে তাঁর কবীর-উদ্ধৃতি, “মালি সিঁচে শও ঘড়া, ঋতু আয়ে ফল হোয়ে।”

সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে কি তিনি ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থা নিয়ে তৈরি সিনেমা ইমার্জেন্সি দেখার অনুরোধ করেছেন? তেমনই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তাঁর নিজের পরিচালিত ইমার্জেন্সি ছবিতে তিনি প্রিয়ঙ্কার ঠাকুমা ইন্দিরার ভূমিকায়। কঙ্গনার দাবি, সংসদ ভবনে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। রাহুল গান্ধী তাঁকে দেখে অগ্রাহ্য করে চলে গেলেও প্রিয়ঙ্কা তা করেননি। নিজেই হাসিমুখে ডেকে কঙ্গনার চুল ও পোশাকের প্রশংসা করেন। তখনই কঙ্গনা প্রিয়ঙ্কাকে জরুরি অবস্থা নিয়ে ছবি দেখার অনুরোধ করেন। কঙ্গনার দাবি, প্রিয়ঙ্কা যথেষ্ট উদার। অনুরোধ পত্রপাঠ নাকচ করে দেননি।

প্রিয়দর্শিনী: ইমার্জেন্সি ছবির দৃশ্য

জেলে থাকার সুবিধা

দিল্লি বিধানসভায় এত দিন আম আদমি পার্টির মুখ্য সচেতক ছিলেন দিলীপ পান্ডে। তিমারপুরের এই বিধায়ক এ বার টিকিট পাননি। তাই হয়তো দিলীপের পুরনো লেখক সত্তা ফিরে এসেছে। দিল্লির বিধানসভা ভোটের ময়দানেই তাঁর পঞ্চম উপন্যাস গুলাবি খঞ্জর প্রকাশিত হয়েছে। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজরীওয়াল দুঃখ করেছেন, এখন তাঁর উপন্যাস পড়ারই সময় নেই। আবগারি দুর্নীতিতে মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে তিহাড় জেলে থাকার সময় এই বই হাতে পেলে নিশ্চয়ই পড়ে ফেলতেন। কারণ জেলে বই পড়ার অনেক সময়।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement