গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ায় অ্যাম্বুল্যান্সের উপরে ইজ়রায়েলের হামলা। আকাশপথে অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্য করে ইজ়রায়েলি ফৌজ বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ। প্যালেস্তিনীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০-এর কাছাকাছি।
গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতালের সামনে শনিবার সকালে বোমা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তখন সবেমাত্র বেরিয়েছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। বোমার আঘাতে ওই এলাকায় থাকা অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আল-শিফা হাসপাতালে এই মুহূর্তে যুদ্ধে গুরুতর আহত প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের চিকিৎসা চলছে। প্যালেস্তাইনের একটি স্বাস্থ্য সংগঠনের দাবি, হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার দূরে অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স ‘টার্গেট’ করেছিল ইজ়রায়েলি ফৌজ। ওই সময় হাসপাতাল থেকে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স পর পর বেরিয়েছিল।
ইজ়রায়েলি ফৌজ দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি করে এসেছে, প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস অস্ত্র পরিবহণের মাধ্যম হিসাবে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করে। হামাসের সদস্যেরাও অ্যাম্বুল্যান্সে করেই যাতায়াত করেন। সেই কারণেই তারা অ্যাম্বুল্যান্সের উপর ইচ্ছাকৃত ভাবে বোমা ফেলেছে, আত্মপক্ষ সমর্থন করে এমনই দাবি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনার।
অন্য দিকে, হামাস জানিয়েছে, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করে তারা যুদ্ধে আহত কয়েক জন রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতাল ছেড়ে অ্যাম্বুল্যান্স বেরোতেই তার মাথায় বোমা পড়ে।
গাজ়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ইজ়রায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসও। তিনি এই ঘটনায় ‘অত্যন্ত বিস্মিত’। বলেছেন, ‘‘আমি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অ্যাম্বুল্যান্সের মতো পরিষেবা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে যে কোনও পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে হবে।’’
হামাস পরিচালিত প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের হামলার কারণে দেশের অন্তত ১৬টি হাসপাতাল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে। যুদ্ধের চার সপ্তাহে গাজ়ায় আহতের সংখ্যা সাড়ে ২৩ হাজারের বেশি। শুধু গাজ়াতেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৯,২০০।