যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
যুদ্ধের পরিধি আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। গাজ়ায় আগ্রাসন বন্ধ না হলে যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করবে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লাও। আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। তাঁর বক্তব্য, অবিলম্বে গাজ়ায় ইজ়রায়েলের হামলা বন্ধ না হলে হিজ়বুল্লা যুদ্ধে যোগ দেবে। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ আর কেবল ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তা আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হবে। হয়ে উঠবে আরও বিধ্বংসী।
ইজ়রায়েল, হামাসের এই যুদ্ধের নেপথ্যে আমেরিকাকেই এক এবং অদ্বিতীয় ভাবে দায়ী করেছেন হিজ়বুল্লা প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘গাজ়া এবং সেখানকার মানুষের উপর এই আগ্রাসনের জন্য দায়ী একমাত্র আমেরিকা। ইজ়রায়েল ওদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি অস্ত্রমাত্র।’’ এই যুদ্ধকে পূর্বপরিকল্পিত এবং সিদ্ধান্তমূলক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
লেবাননে হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইজরায়েলী ফৌজের হামলায় সংগঠনের বহু সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের স্মৃতিচারণ সভায় শুক্রবার ভাষণ দেন হিজ়বুল্লা প্রধান। সেখানেই তিনি জানান, পশ্চিম এশিয়ার এই যুদ্ধে এখনও সব রকম সম্ভাবনা খোলা রয়েছে। আমেরিকার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, শীঘ্রই গাজ়ায় আগ্রাসন থামাতে হবে। না হলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে লেবাননেও।
হিজ়বুল্লা যে হামাসের পাশে আছে, তা আগেই ঘোষণা করেছিল। এটি মূলত ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী যাদের ঘাঁটি রয়েছে লেবাননে। ইরানও ইজ়রায়েলে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। লেবাননে হিজ়বুল্লার ঘাঁটিতে ইজ়রায়েলের হামলার পরেই পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধের পারদ আরও চড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তার পরেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রত্যাঘাত করে ইজ়রায়েল। প্রায় এক মাস ধরে যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ায়। যুদ্ধে ইজ়রায়েল আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলির সমর্থন পেয়েছে। তারা প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে হামাসের উপর। যুদ্ধ থামার এখনও কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।