কাবুলের রাস্তায় টহলদারি তালিব যোদ্ধাদের। ছবি—এএফপি।
বিরোধীদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে— ক্ষমতা দখলের ঠিক পরেই এই কথা শোনা গিয়েছিল তালিবান নেতৃত্বের মুখে। কিন্তু তা যে শুধুই কথার কথা, তা যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে তালিবান। বিরোধী এবং পূর্বতন সরকারের যে সব আধিকারিক আমেরিকা এবং ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন বন্দুকধারী তালিব যোদ্ধারা। সম্প্রতি এমনটাই জানা গিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের গোয়েন্দাদের রিপোর্টে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্ট সামনে আনে। তালিবানি আশ্বাস সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ কাবুল ছেড়ে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন বলেও রিপোর্টে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
রাজধানী কাবুল দখল নেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের ভাবমূর্তি বদলানোর বার্তা দিয়েছিলেন তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। দু’দশক আগে তালিবানের নির্মম রূপ দেখেছিল গোটা বিশ্ব। আশরফ গনি সরকারের পতনের পর নিজেদের নতুন ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তালিবান। শরিয়ত আইন মেনে মেয়েদের অধিকার দেওয়া, পূর্বতন সরকারের কর্মী, আধিকারিক এবং তালিবান বিরোধীদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ফলাও করে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের তরফে। কিন্তু রাষ্ট্রপু়্ঞ্জের এই রিপোর্ট তুলে ধরছে অন্য ছবি।
সন্দেহভাজন এবং তাঁদের আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি কাবুল বিমানবন্দর যাওয়ার পথেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপু়ঞ্জের ওই রিপোর্টটি তৈরি করেছে নরওয়ে সেন্টার ফর গ্লোবাল অ্যানালিসিস নামক সংস্থা। ওই সংস্থার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিশ্চিয়ান নেল্লেমান বলেছেন, ‘‘তালিবানকে সমর্থন না করলেই তাঁদের পরিবারকে নিশানা বানানো হচ্ছে। শরিয়তি আইন অনুযায়ী তাঁদের শাস্তিও দিচ্ছে তালিবান। অতীতে যাঁরা আমেরিকা এবং ন্যাটো বাহিনীকে সাহায্যে করেছিল, বেছে বেছে তাঁদেরই নিশানা করছে তালিবান।’’