ওষুধের দোকানে কিনতে গেলে চড়া দামে ইনজেকশনটি বিক্রি করেন দোকানের মালিক। প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ নবজাতক ভর্তি ছিল হাসপাতালে। চিকিৎসার জন্য একটি ইঞ্জেকশনের নাম স্লিপে লিখে দেন হাসপাতালের চিকিৎসক। ওষুধের দোকানে কিনতে গেলে চড়া দামে ইনজেকশনটি বিক্রি করেন দোকানের মালিক। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩২ গুণ বেশি দামে ইঞ্জেকশনটি বিক্রি করেছেন দোকানের মালিক। জানার পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান ক্রেতা। রবিবার সন্ধ্যায় দোকানের মালিককে ওই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, ৪ দিন বয়সি এক শিশু অসুস্থ বোধ করায় তাকে বাংলাদেশের শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করান মহম্মদ লিখন নামে এক ব্যক্তি। চিকিৎসার জন্য 'ক্যাসিন ১০০' নামের একটি ইঞ্জেকশন প্রয়োজন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়। হাসপাতালের সামনে একটি ওষুধের দোকানে ইঞ্জেকশনটি কিনতে যান মহম্মদ।
৫২০ টাকায় ইঞ্জেকশনটি বিক্রি করা হয় মহম্মদকে। কিন্তু পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইঞ্জেকশনটির আসল দাম ১৬ টাকা। আসল দাম জানার পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানে দফতরের তরফে অভিযান চালানো হয়। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেলে দোকানের মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।