গ্রন্থাগার দফতরের তরফে সব জেলা গ্রন্থাগারিকদের চিঠি পাঠিয়ে নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে অবগত করানো হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
সরকারি গ্রন্থাগারে নিজস্ব বই এনে পড়াশুনো করা যাবে। এমনই নতুন নিয়ম আনা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানে চলা গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠকরা যাতে নিজস্ব বই এনে পড়াশোনা করতে পারেন তার জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নিয়ম। নতুন এই নিয়ম দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে গ্রন্থাগার দফতর। যেই কারণে গ্রন্থাগার দফতরের তরফে সব জেলা গ্রন্থাগারিকদের চিঠি পাঠিয়ে এই নিয়ম প্রসঙ্গে অবগত করানো হচ্ছে। এত দিন নিয়ম ছিল, গ্রন্থাগারে এসে কেবল মাত্র গ্রন্থাগারের বই পড়তে পারবেন সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারের সদস্যরা। এমনিতেই গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা প্রায় সব সরকারি গ্রন্থাগারেই রয়েছে, এ বার সেই পদ্ধতির সঙ্গে আরও একটি নতুন প্রক্রিয়া সংযোজিত হতে চলেছে।
তবে গ্রন্থাগার দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গ্রামীণ বেশ কিছু গ্রন্থাগারগুলিতে নিজস্ব বই এনে পড়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। সেগুলিতে সরকারি সিলমোহর না থাকলেও, গ্রন্থাগার কমিটির তরফেই এই ধরনের নিয়ম তৈরি করে কাজ চালান হচ্ছে। কিন্তু এ বার এই বিষয়টিকে রাজ্যের সব সরকারি গ্রন্থাগারগুলিতে চালু করতে চায় দফতর। তাই কত গ্রন্থাগারে নিজস্ব বই এনে পড়ার ব্যবস্থা করা যাবে, সেই সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে জেলার গ্রন্থাগার আধিকারিকদের। এখন জেলা, টাউন ও গ্রামীণ গ্রন্থাগারের মধ্যে কতগুলিতে এই ব্যবস্থা আছে তা জানাতে হবে তাঁদের। কোন কোন গ্রন্থাগারে এই ব্যবস্থা করা যায় তার তালিকা তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর জন্য কত টাকা প্রয়োজন হবে তা বিস্তারিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
বিশেষ করে যে সমস্ত পাঠকরা চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। সেই কারণেই এই নতুন সুবিধা চালুর কথা ভাবা হয়েছে। তাই নতুন নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর হয়ে গেলে নিজস্ব বইয়ের পাশাপাশি গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে তাঁরা পড়াশোনা করতে পারবেন। তা ছাড়া বহু ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে পড়াশুনা করার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে না। তাঁরাও গ্রন্থাগার দফতরের এই নতুন নিয়মের ফলে উপকৃত হবেন বলেই মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা। যেই কারণে সরকারি গ্রন্থাগারে এই বিশেষ ব্যবস্থাটির সম্প্রসারণ করতে চাইছেন গ্রন্থাগার দফতরের শীর্ষ কর্তারা।