নভেম্বরের শেষে রাজ্যকে আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীন গ্রামীণ এলাকায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির বরাত দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনুমোদিত বাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নভেম্বরের শেষে রাজ্যকে আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীন গ্রামীণ এলাকায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির বরাত দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বরাদ্দের সঙ্গে বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, পুরনো তালিকা থেকে অযোগ্যদের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা তৈরি করতে। সেই নির্দেশ মেনেই ২০১৮ সালে তৈরি উপভোক্তা তালিকা থেকে অযোগ্যদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ চলছে। গ্রামসভা আয়োজন করে বাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি, এ বার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুমোদিত কোটার বাড়িগুলি তৈরির জন্য জিয়ো ট্যাগিং এবং রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ, বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় গ্রামসভার অনুমোদন মিললে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা স্তরের অ্যাপিলেট কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। রাজ্য এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
হুগলির জন্য এই কোটায় ৫৫ হাজার বাড়ি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার ও হাওড়ায় ২০,৪০০। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাকি বাড়ির বরাতও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই আগামী ১০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তেমনটা না হলে আবারও প্রশ্নে মুখে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের আবাস প্রকল্প। তাই এ ক্ষেত্রে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে চাইছে নবান্ন।
এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, “এ রাজ্যে যে ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি নজরদারি খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নজরদারি না হলে পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে বাড়ি বণ্টন করতে পারে শাসকদল। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প প্রসঙ্গে যে সব নির্দেশ দিয়েছে, তা একেবারে যথার্থ।”