শেষ দুটি নির্বাচনে ভোট দেননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
আগামী মঙ্গলবার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ভোটের প্রচারে নেমে বাম কর্মী সমর্থকদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কেন্দ্র করে। এ বারের উপনির্বাচনে কি ভোট দিতে আসবেন তাঁদের প্রিয় নেতা? রবিবার এমন প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন বুদ্ধদেব-জায়া মীরা ভট্টাচার্যর কাছে জানতে চায়, উপনির্বাচনে কি বুদ্ধদেব ভোট দিতে যাবেন? জবাবে মীরা বলেন, ‘‘আপনারা সকলেই জানেন, তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা। তাই এখনই বলা সম্ভব নয়, তিনি ভোট দিতে যাবেন কি না। সব কিছুই নির্ভর করছে তাঁর শরীরের উপর।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ভোটের দিন কেমন শরীর থাকে, দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
তবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে তাঁর উপনির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর সে ব্যাপারে তাঁর পরিবার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নেবেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটের প্রচার করতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম। বুদ্ধদেবের সঙ্গে দেখা না হলেও, মীরার সঙ্গে দেখা করে আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইচ্ছে থাকলেও শরীর সায় না দেওয়ায় ভোট দিতে যাননি বুদ্ধদেব। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোট দিতে যাননি তিনি। অসুস্থতার কারণেই গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশেও আসেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বরং সমাবেশের আগের দিন একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছিলেন বামপন্থী জনতার উদ্দেশে। পরে একটি অডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন। বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার। বুথ বালিগঞ্জ পাঠভবন স্কুলে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শেষ বার ভোট দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সে বার বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী কৃষ্ণা দেবনাথ। তার পর থেকেই দু’টি নির্বাচনে তাঁর নিজের দল সিপিএমের প্রার্থী থাকলেও, তাঁদের আর ভোট দিতে পারেননি তিনি।