বদলে যাচ্ছে ফরোয়ার্ড ব্লকের পতাকা। ফাইল চিত্র
পাঁচ দশক পর বদলে গেল ফরওয়ার্ড ব্লকের পতাকা! শনিবার ভুবনেশ্বরে শেষ হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় পরিষদের বৈঠক। সেই বৈঠকেই দলীয় পতাকা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। এত দিন লাল পতাকার মাঝে লাফানো বাঘের সঙ্গে থাকত কাস্তে-হাতুড়ি। কিন্তু এ বার সেই কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নটি বাদ দিতে চলেছে ফব। পাঁচের দশকের প্রথম দিকে পুরীর পার্টি কংগ্রেসে বর্তমান পতাকা চূড়ান্ত করেছিলেন তৎকালীন ফব নেতৃত্ব। কিন্তু চিত্ত বসু ও অশোক ঘোষের মতো নেতা প্রয়াত হওয়ার পর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পতাকা পরিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে চর্চা চালাচ্ছিল ফব। সেই পতাকা বদলের সিদ্ধান্ত জাতীয় পরিষদের মঞ্চ থেকে চূড়ান্ত করছে তারা। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? সেই প্রশ্নের জবাবে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠক থেকে আমরা সুভাষচন্দ্র বসুর মতবাদ অনুসরণে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমাদের পতাকা থেকে কাস্তে-হাতুড়ি চিহ্নটি বাদ যাচ্ছে।’’
কান্নুরে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস চলছে। সেই সময় বামফ্রন্টের আরও এক শরিক দলের এহেন সিদ্ধান্ত রাজ্য রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। যদিও বামফ্রন্টের জোট থেকে এখনই সরে না আসার পক্ষে ফব নেতৃত্ব সওয়াল করেছেন জাতীয় পরিষদের বৈঠকে। পাশাপাশি, সংগঠনের কথা মাথায় রেখে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের কোনও সাধারণ সম্পাদক আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। ভোটে না দাঁড়ানোই নয়, সাধারণ সম্পাদকরা কেউ তিন বারের বেশি পদে থাকতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফব নেতৃত্ব। সর্বস্তরের কমিটিতে থাকার জন্য ফব নেতৃত্ব সর্বোচ্চ বয়সসীমা ধার্য করছে ৭৫। পাঁচ বছর অন্তর দলীয় সম্মেলন পর্বে প্রত্যেক কমিটি থেকে বয়স ও কাজের ভিত্তিতে অন্তত ১০ শতাংশ নেতাকে বাদ দিয়ে নতুনদের সুযোগ দেওয়াও বাধ্যতামূলক করছে তারা।