নিজস্ব চিত্র
গঙ্গাসাগর মেলা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে আদালতের রায়ের উপর। কিন্তু মেলা হচ্ছে ধরে নিয়ে সব রকম প্রস্তুতি রাখছে রাজ্য। পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের পাশাপাশি হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা।
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিস্তারিত জানান, কোভিডবিধি মেনে কী ভাবে মেলা করা হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা যদি মাস্ক, স্যানিটাউজার না আনেন তবে তাদের তা সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া মেলায় যদি কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েন তবে চিকিৎসারও ব্যবস্থা থাকছে।
মেলাকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য দশ হাজার পুলিশ কর্মী ও পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী-সহ অন্যন্য কর্মী মিলিয়ে ৭৩৫ জন মেলায় থাকবেন।
এ জন্য মেলা প্রাঙ্গণ-সহ বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকছে। সব মিলিয়ে মোট ১৮টি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি বিচ্ছিন্নবাসে মোট ১২৫টি বেড থাকছে। জেলা সেফ হোম থাকছে মোট পাঁচটি। এই পাঁচটি সেফ হোমে মোট ২৩৫টি বেড থাকছে। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বিশেষ ভাবে পাঁচটি হাসপাতালের মোট ৬৩০টি বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আটটি কোয়রান্টিন সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বেডের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫৩০।
মেলায় কমর্রত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য একাধিক জায়গায় মোট ১৯৩টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া কোভিড আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে ছ’টি কবরস্থান এবং ছ’টি দাহকার্যের জায়গাকে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে।