রোজ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্টে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, শুধু গত সাতদিনে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। তবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার এখনও বেশ কম। স্বাস্থ্যসচিবের রিপোর্ট অনুযায়ী গত সাত দিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দু’হাজার ৯২০ জন।
বৃহস্পতিবারের ওই রিপোর্টে গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হিসেব দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার বিশদও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক স্ফীতিকে নজরে রেখে রাজ্যে ১৯৪টি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সরকারের তরফে। করোনা চিকিৎসার জন্য ৩২ হাজার ২৬৮টি হাসপাতালের সাধারণ শয্যার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে ১৯ হাজার ৫১৭টি শয্যা। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজন পড়লে বাকি শয্যা দ্রুত বাড়ানো হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর। একই ভাবে হাসপাতালের সিসিইউ এবং এইচডিইউ শয্যার সংখ্যাও বাড়িয়ে ৪১৮০টি করা হলেও আপাতত তিন হাজার সিসিইউ এবং এইচডিইউ শয্যা ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যসচিবের রিপোর্টে।
করোনাকে রুখতে ছোট ছোট এলাকায় আক্রান্তদের গণ্ডিবদ্ধ করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির কারও করোনা হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রিপোর্টে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনা ঠেকাতে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৪০৩টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা করা হয়েছে। যার মধ্যে ছোট গণ্ডিবদ্ধ এলাকা করা হয়েছে ১৩৬টি।