—ফাইল ছবি
রাজ্যে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের। ২১টি হাসপাতালে পিকু বেড বাড়ানো হবে বলে নির্দেশিকায় উল্ল্যেখ করা হয়েছে। রাজ্যে পিকু বেডের সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯টি করা হচ্ছে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
আসন্ন কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাসপাতালগুলিকে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজকে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার উৎকর্ষকেন্দ্র হিসাবে পাঁচটি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হল।
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে আগে পিকু বেড বরাদ্দ ছিল না। এ বার এই হাসপাতালে শিশুদের জন্য নতুন ১২টি পিকু বেড প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ২৪টি নতুন পিকু বেড প্রস্তত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডায়মন্ড হারবার, রামপুহরহাট, পুরুলিয়া, রায়গঞ্জ হাসপাতালে ২৪টি করে নতুন পিকু বেড প্রস্তত করা হচ্ছে।
কলকাতার সাতটি হাসপাতালে ২১৮টি পিকু বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ৪৪টি এবং বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৭২টি পিকু বেড বাড়ানো হচ্ছে।
রাজ্যে আগে ১৫টি হাসপাতালে শিশুদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ২৪৪টি বেড বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে আরও ৪৩৫টি পিকু বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান এক স্বাস্থ্য কর্তা।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেকে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য দফতর। এ বার বাঁকুড়া এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজকে সেই তালিকায় যোগ করা হল।
গত সপ্তাহ থেকে জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বহু শিশু। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিষেবা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।