Fever

Fever: অস্বাভাবিক কিছু নয়, এই সময়টায় শিশুদের এমন জ্বর হয়, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

প্রতি বছরই এই মরসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএস ভাইরাস এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় শিশুরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৬
Share:

ফাইল ছবি

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলিতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশু ভর্তির সংখ্যা উদ্বেগ বাড়ালেও আতঙ্কের কারণ নেই। অন্যান্য বছরও এই সময় শিশুদের জ্বর হয়। চলতি বছর অস্বাভাবিক সংখ্যায় শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত হয়নি বলে জানালেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

Advertisement

অজয় জানান, সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত ১১৯৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। অন্যান্য বছরও সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে দু’হাজার শিশু জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয় বলে জানান তিনি। সে তুলনায় চলতি বছরের জ্বরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান অন্যান্য বছরের তুলনায় অস্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।

বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, অজানা নয়, জানা কারনেই জ্বর হচ্ছে। মৃত শিশুদেরও অন্য অসুখ ছিল। বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গত চার বছরে সেপ্টেম্বর মাসে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা এবং জ্বরের কারণ খুঁজতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিই অসুস্থ শিশুদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করেছেন।এখনও পর্যন্ত বড় এলাকা জুড়ে এই জ্বর ছড়িয়ে পড়া বা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছনোর প্রমাণ মেলেনি। তাঁদের মতে প্রতি বছরই এই সময় শিশুদের জ্বর হয়। বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএস ভাইরাস এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় শিশুরা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে চলতি মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখ জলপাইগুড়ি হাসপাতালে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত শিশুদের একজন হার্টের অসুখ এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। অপর জনের জন্মের সময় ওজন কম ছিল বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। চলতি বছরের, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১৯৫ জন শিশু জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত বছর ৬৪০জন শিশু এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে করোনার কারণে ওই বছর শিশুভর্তির সংখ্যা কম ছিল বলে জানান অজয়। ২০১৯ সালে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ২০৮৩ জন শিশু ভর্তি হয়। ২০১৮ সালে শিশু ভর্তির সংখ্যা ছিল ২০৪৯ জন এবং ওই বছর চার শিশুর মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বর মাসে। ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ২২৭৯ জন শিশু ভর্তি হয় এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়।

উত্তরবঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসকরা বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছিলেন। শুক্রবার পরিস্থিতি পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গ যাবে স্বাস্থ্য ভবনের গঠিত বিশেষজ্ঞ দল । জলপাইগুড়ি, মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের শারীরিক পরিস্থিতি এবং হাসপাতাল পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। শিশুদের চিকিৎসার জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) পরিকাঠামো, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে কি না, এবং বিশেষ কোনও এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে কি না তাও দেখবে বিশেষজ্ঞ দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement