শুক্রবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ফাইল চিত্র
বঙ্গোপসাগরে ঠিক কখন জন্ম নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোকা? বুধবার সকালে জানাল মৌসম ভবন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা দুর্যোগ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বুধবার সন্ধ্যার দিকে। পরের কয়েক ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বৃহস্পতিবার সকালেই। তবে মোকার পরাক্রম সেখানেই থেমে থাকবে না।
বুধবার আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের পরও আর শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এর পর একই জায়গায় অবস্থান করে সন্ধ্যার মধ্যে তা আরও বলবৃদ্ধি করে পরিণত হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। মৌসম ভবন এই মর্মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমুদ্রে লাল সতর্কতা জারি করেছে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে, যাঁরা গভীর সমুদ্রে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন, তাঁরা যেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপকূলে ফিরে আসেন।
শুক্রবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৌসম ভবন তাদের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই সমুদ্রে তৈরি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১৪ মে অর্থাৎ রবিবার বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকা এবং মায়ানমারের কাউকপু এলাকার কাছে পৌঁছবে ঘূর্ণিঝড়।