—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চিনা সুতোর মাঞ্জায় গলা কেটে রক্তাক্ত হলেন প্রৌঢ় স্কুটি আরোহী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসায় প্রাণ বাঁচলেও বাক্শক্তি হারিয়েছেন ওই স্কুটি আরোহী। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর পটিদার ব্রিজে। জানা গিয়েছে, ওই একই সেতুতে দু’বছর আগেও ঠিক একই রকম বিপদে পড়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। সে বার অবশ্য বড়সড় শারীরিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাটি হয় বৃহস্পতিবার সকালে। বাইক নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন ৫৩ বছর বয়সি প্রহ্লাদ মোদে। তিনি যখন পটিদার সেতুর উপরে তখন হঠাৎই ঘুড়ি থেকে ছেঁড়া চিনা মাঞ্জা গলায় আটকে যায় তাঁর। চলন্ত বাইক নিয়ে ওই অবস্থাতেই হাত দিয়ে প্রহ্লাদ সুতোর ফাঁস ছাড়াতে যান। কিন্তু উল্টে ঘাড় এবং গলায় পেঁচিয়ে যায় চিনা মাঞ্জা। আঙুলেও রক্তারক্তি হয়। বাইক নিয়ে সেতু উপরে পড়ে যান তিনি। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রৌঢ়কে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চিকিৎসায় প্রৌঢ়ের প্রাণ বেঁচে গেলেও আর কথা বলতে পারছেন না তিনি। প্রহ্লাদের ছেলে জানিয়েছেন, বাবার ঘাড়ে এবং গলায় আটটি সেলাই পড়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁর বাক্শক্তি ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
স্কুটিচালকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ওই পটিদার সেতুতে একই বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রহ্লাদ। তখনও তিনি আহত হন। গলা কেটে গিয়েছিল। তার পর থেকে বাইক চালানোর সময়ে মাফলার ব্যবহার করতেন প্রহ্লাদ। বৃহস্পতিবার মাফলার নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর ওই দিনই একই বিপদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রহ্লাদের ছেলের আবেদন, চিনা মাঞ্জা ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। তাঁর বাবার মতো এমন প্রচুর বাইক এবং স্কুটি আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ওই এলাকায়।