—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জের। আগামী চার দিন রাজ্যে দুর্যোগের পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। একই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই দুইয়ের জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
শুক্রবার দুই ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ওই দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায়। সোমবার এই জেলাগুলির সঙ্গেই অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া জেলার কিছু অংশে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কালিম্পং বাদে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণাবর্তটি আগামী দু’দিনে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর ক্রমশ সেটি পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী তিন দিনে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে। এই কারণে সোমবারের পর রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ বাড়বে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে মানুষজনকে।