অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র
বসন্ত উৎসব নিয়ে জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে ছিলেন না বিশ্বভারতীর কেউ। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকের দিনই মাঘ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকায় বৈঠকে কারও থাকা সম্ভব হয়নি। এ বার বসন্ত উৎসব নির্বিঘ্নে করতে রাজ্য প্রশাসনের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদেরই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাল বিশ্বভারতী। আগামীকাল, মঙ্গলবার, বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।
গত বছর বসন্ত উৎসবে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী ছিল শান্তিনিকেতন। তাই এ বার প্রথম থেকেই দোলের দিন বসন্ত উৎসব করতে রাজি হননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে দোলের দিনই তা করার পক্ষে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর রাজ্য সরকারের কাছে প্রশাসনিক সহযোগিতা চাওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফ থেকে। বোলপুরে এসে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রতি বছর বসন্ত উৎসব যেভাবে স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করে এ বারও তার অন্যথা হবে না।
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের এরপরই বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা বসন্ত উৎসব নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বসন্ত উৎসব নিয়ে বিশ্বভারতী যা যা সহযোগিতা চাইবে রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।
শুক্রবার রাতে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বসন্ত উৎসব নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বৈঠকের কথা জানানো হয়। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্তারা-সহ রাজ্যের মন্ত্রী ও সাংসদদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর তরফ থেকে রাজ্য গ্রামোন্নয়ন এজেন্সির চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দোপাধ্যায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ ৪৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় ওই আলোচনা হওয়ার কথা।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী প্রথম থেকেই চেয়েছিল বসন্ত উৎসব সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সমস্ত দায়ভার রাজ্য সরকার নিক। তাই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে পদাধিকারী সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে বসন্ত উৎসব নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।’’