পরিদর্শক দলের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের দুই শীর্ষকর্তাকে যুক্ত করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্পের হালহকিকৎ জানতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এই পরিদর্শক দলে থাকবেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিক। সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৩তম জয়েন্ট রিভিউ মিশন (জেআরএম) কর্মসূচিতে ২০ জানুয়ারি রাজ্যের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সেই পরিদর্শক দলের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের দুই শীর্ষকর্তাকে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, শিক্ষা দফতরের কমিশনার তথা রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের অধিকর্তা শুভ্র চক্রবর্তী ও প্রাক্তন আমলা তথা বর্তমানে রাজ্যের মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা তপন অধিকারী।
গত শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, আগামী ২০ জানুয়ারি রাজ্যের মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে জানান কেন্দ্রীয় সরকারের উপসচিব দীপা আনন্দ। উপসচিবের চিঠিতে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কয়েকজন শীর্ষ সরকারি আধিকারিককে যুক্ত করতে। সেই শর্ত মেনেই দু’জন শীর্ষ আধিকারিককে যুক্ত করল বিকাশ ভবন।
প্রতিনিধিরা মোট ২৬টি বিষয়ের ওপর নজরদারি চালাবেন। এই নজরদারিতে মিড ডে মিলের মান যেমন খতিয়ে দেখা হবে, তেমনই যেখানে মিড মে মিল তৈরি হয়, সেই হেঁশেলেও নজরদারি করা হবে। পিএম পোষণ প্রকল্পে শিক্ষকদের ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। সঙ্গে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের কী মনোভাব, তা জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
প্রশাসনিক মহলের একাংশের ধারণা ছিল, রাজ্যে মিড মে মিল তথা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপর নজরদারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হতে পারে। কারণ, এর আগে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্প খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। সে বারও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত হয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংঘাতের পরিস্থিতি এড়িয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।