সিউড়ি-২ ব্লকের গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনার অডিট করতে এসে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে সিউড়িতে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শাসক শিবিরের লোকজন নন, গ্রামের গরিব মানুষেরাই বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার সিউড়ি-২ ব্লকের হরিশপুর এবং ক্ষতিপুর গ্রামে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ২০১৮ সালে এই গ্রামগুলিতে যে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে এই দু’গ্রামেই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে অডিট টিম। ১০০ দিনের কাজের টাকার উপর দুই গ্রামের বহু পরিবার নির্ভরশীল। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ‘‘বাড়ির সার্ভে করা হোক। কিন্তু ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না?’’ হরিশপুর গ্রামের শেখ নুর আলমের দাবি, ‘‘দু’বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইনি। ঘর সার্ভে করতে যাঁরা এসেছিলেন, আমরা তাঁদের বলেছি, আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিন। তার পর বাড়ি সার্ভে করবেন।’’
এই বিক্ষোভের পিছনে তৃণমূল কর্মীরাই রয়েছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিনাশপুর অঞ্চলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সভাপতি রাজু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সাধারণ গ্রামবাসীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ২০১৮ সালের আবাস যোজনায় আমার পঞ্চায়েতে যে বাড়িগুলো তৈরি হয়েছিল, কিছু গ্রামে সেগুলি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে রয়েছে ব্লক ও পঞ্চায়েতের দল। তবে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে গরিব মানুষেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ হয়নি। এখানে আবাস যোজনায় কোনও দুর্নীতি পাবেন না। অবিনাশপুর পঞ্চায়েতে বিরোধীদের অস্তিত্ব নেই।’’ তবে ক্ষতিপুর গ্রামের তৃণমূল সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়ি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। গ্রামের ঘরবাড়ি ঠিকই রয়েছে। তবে গত ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে বহু জায়গায় আন্দোলনও করেছি আমরা। সে জন্যই গ্রামের গরিব মানুষেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’